গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় পেটে লাথি, নবজাতকের লাশ উত্তোলন

দীর্ঘদিনের প্রেম বিয়ে করার আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক। এরপর অন্তঃসত্ত্বা। প্রেমিক সন্তানে রাজি না। নয় মাসের শিশুকে গর্ভপাত ঘটাতে চাপ দেয় প্রেমিক যুবক। রাজি না হওয়ায় পেটে লাথি মারলে মৃত সন্তান প্রসব করে প্রেমিকা তরুণী। এরপর নবজাতকে মাটিচাপা। তিন দিনের মাথায় সেই শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদ্মাসন সিংহের উপস্থিতে পুলিশ সদর ইউনিয়নের রশিদারপাড়া পুকুরপাড় থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করে।

মামলার কপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রশিদারপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (২৬) ওরফে কালো মিজানের সঙ্গে সাতগরিয়াপাড়া এলাকার রিকশাচালক নজির আহমদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মিজান তাঁকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি মিজানকে জানিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। সেই থেকে মিজান মোবাইল ফোনের সিম বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেয়। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীকে ঘটনার দিন রাতে মিজান গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মিজান ভুক্তভোগী তরুণীর পেটে সজোরে লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলে ওই তরুণী মৃত সন্তান প্রসব করেন। ঘটনার পরপর মিজান মৃত বাচ্চাটি গোপনে রাতেই দাফন করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে বা আইনের আশ্রয় নিলে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় মিজান। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে তরুণী মিজানকে আসামি করে লোহাগাড়া একটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে আদালতের অনুমতি নিয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন